বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১
আমির হোসেন, চরফ্যাশন।।
চরফ্যাশন আদালত নেজারত ও নকল বিভাগ কক্ষে আইনজীবি সহকারী মামলার নথি চাওয়াকে কেন্দ্র এড. হারুন ফরজীকে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় এ ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (আজ) বুধবার মামলার জামিন চাইবে। এই জন্যে এডভোকেট তার আইনজীবী সহকারী ইউসুফকে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত থেকে জি আর ১০৯/২০১০ সালের হত্যা মামলার নথি আনতে পাঠায়। পেশকার কমল দে ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হুমায়ূন তার কাছে ১হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাদেরকে দু‘শ টাকা দিলে তারা গ্রহণ না করে নথি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ বিষয়ে চরফ্যাশন আদালতের এডভোকেট হারুন অর রশিদ ফরজী নেজারত ও নকল বিভাগে গিয়ে মামলার নথির ফটোকপি কেন দেয়া হয়নি পেশকারকে প্রশ্ন করেন। এমন প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ, পেশকার ফেরদাউস, অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের পেশকার কমল দে, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হুমায়ূনসহ ৮/১০জন স্টাফ একাত্রিত হয়ে এড. হারুনকে কক্ষে আটকি এলাপাতারি মারধর করে। এবং তারা বলে বেড়ায় ঘুষের ব্যপারে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্যাস্টার্র্স দেছ। এই বলে তার মোবাইল ফোনটি ফ্লোরে আচড়ি ভাংচুর করে এবং মটরসাইকেলের চাবি ফেরদাউস নিয়ে যায়। আহত আইনজীবি হারুন অর রশিদ বলেন, আমি ঘুষ বানিজ্যের ব্যপারে সোচ্চার হওয়া তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বের প্রতিশোধ মূলক আমার উপর এই হামলা চালায়।
সেরেস্তদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আইনজীবি হারুনের সাথে পেশকার কমল দে, ও পিয়ন হুমায়ুনের সাথে নথি নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। আমি চেয়ার থেকে উঠিনি।
এই ব্যপারে চরফ্যাশন আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, পেশকারদের ঘুষ বানিজ্যের কথা বলাই আমাদের আইনজীবি হারুনকে দরজা আটকি মারধর করে রক্তাক্ত করেছে।